শাল্লা প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ ঃসুনামগঞ্জের শাল্লায় বহুল আলোচিত এস আই শাহ আলীর মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য আবারও মিত্যা নাটক সাজানোর অপচেষ্টা করছে শাহ আলী । তার অপকর্ম ডাকতেই ওসি’র সঙ্গে যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপুর মোবাইলে কথোপকথনের একটি এডিট মিত্যা অডিও ফাঁস করছে।
ওই অডিও রেকর্ডে অপুর মোবাইল থেকে নাকি
ওসি নুর আলমের সঙ্গে ঘটনা সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে।এবিষয়ে অবশ্য ওসি নুর আলম বলেন এসব বিষয়ে আমি অবগত নই। তিনি বলেন যে বা যারাই অপকর্ম করবে আইন তার ব্যবস্থা নিবে। আজ( বুধবার ১১ আগস্ট) এই মামলার বিষয়ে তদন্তে আসছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি অফিসের এসপি স্যার।
এদিকে যুবলীগ নেতা অপুর ভাই এডভোকেট অমিতাভ চৌধুরী বলেন,এস আই শাহ আলী ও সঙ্গীয় এলাকার ৬/৭ জন টাউট মিলে মিথ্যা সাজানো মামলা করেছিল। আজ তারাই শাহ আলীকে বাঁচানোর জন্য আবার ও চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন ১৩ জুলাই আমার বড় ভাই অরিন্দম চৌধুরী অপু গ্রেফতারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন শাল্লা থানার হেফাজতে ছিল। গত ৮ আগষ্ট অপুদার মোবাইল ফোনটি থানা থেকে আমাদের জিম্মায় নিয়ে আসি। থানা হেফাজতে অপু দার মোবাইল থাকা অবস্থায় ফেইসবুক একাউন্ট,ইমেইল পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়। ৮ আগষ্ট এর পর থেকে অপুদার ফেইসবুক,ইমেইল অপুদা ব্যবহৃার করতে পারছেন না। ফোনটি থানায় থাকা অবস্থায় কে বা কারা অপুদার কন্ঠ নকল করে বিভিন্ন অডিও ক্লিপ তৈরি করে জনমনে বিভাজন সৃষ্টি করছে। এরূপ পরিস্থিতিতে আমি সত্য উন্মোচনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি বলে জানান অমিতাভ চৌধুরী।
উল্লেখ্য গত ১২ই জুলাই রাতে যুবলীগ নেতা অপু বাহিনীর কর্তৃক হামলায় এসআই শাহ আলী আহত হয়। রাত সাড়ে ১২ টায় আঁধারে শাল্লা থানা সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্র লীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপুর নেতৃত্বে ৭-৮ জন লোক দা, লোহার রড, লোহার পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বলে ও মামলায় লিখা রয়েছে । মামলায় ঘটনার সময়ে ওসি নুরে আলম শাল্লার বাইরে অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর শাল্লা থানা পুলিশ কথিত যুবলীগ নেতা নাইন্দা গ্রামের অরিন্দম চৌধুরী অপু, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের রতন দাসকে গ্রেপ্তার করে। গত ৮ই আগস্ট রোববার সুনামগঞ্জ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান যুবলীগ নেতা অপু ও রতন।
কমেন্ট করুন